ভাঙ্গে ঢেউ, ভাঙ্গি আমি।
রুনা’পু আর আমি বসে আছি। আপু ‘চল’ বলেই হঠাত ধরে আনলো সমুদ্রের কাছে।
আকাশ হালকা নীল হালকা সাদা। অফিস-ডে। তাই মানুষজন কম। যাও আছে সব জোড়া জোড়া। ওরা অন্যদেরকে বিরক্ত করেনা, নিজেরাও বিরক্ত হতে পছন্দ করেনা। বিরাট একটা পাথরের উপর পা ঝুলিয়ে বসেছি।
এখন ভাটা।
‘রুনা’পু, গান গাইতে মন চাইছে!’
‘গাইতে মন চাইছে, গাও! আশেপাশেও তো কেউ নেই। তবে’ বলেই উনি হাসতে শুরু করলেন,‘ ঐ যে একটা কুকুর আছে!’
অতএব একজন কুকুর স্রোতার উপস্থিতিতে আমরা দু’জন গলা ছাড়লাম।
তুমি চেয়ে আছো তাই/
আমি পথে হেঁটে যাই/
হেঁটে হেঁটে বহুদূর/
বহুদূর যেতে চাই…………
চার লাইন তখনো শেষ হয়নি, দেখি কুকুরটা বালু থেকে উঠে লেজ থেকে বালু ঝাড়তে ঝাড়তে আড়মোড়া ভাংগছে! বুঝলাম, আমার হাসের মত প্যাক প্যাক গলা তার পছন্দ হয়নি। দমে গেলাম।
কিন্তু রুনা’পু থামলেন না।
……… আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে/
জানিনে জানিনে/
কিছুতে কেন যে মন লাগেনা লাগেনা/
আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে…………
বৃষ্টি নেই। তবুও গানটা শুনে কেন মনে হল বৃষ্টি হচ্ছে! এমনকি ঝুম ঝুম বৃষ্টির আওয়াজ পর্যন্ত যেন শুনতে পাচ্ছি!
দূরে একদম নেভালের সীমান্ত ঘেষেঁ সমুদ্রের বালুতে চার/পাঁচটা স্থানীয় ছোট ছেলে ফুটবল খেলেছে। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম ওদের কাছে।
নাহ, কেউ নেই!
ওরাও যেন আমার ‘আমাকে নিবে?’ শোনার জন্যেই অপেক্ষা করছিল!
রুনাপু পাথরের চাইয়ের উপর বসে আমাদের খেলা দেখতে দেখতে হেসে গড়িয়ে পড়লেন! আমি গোল দিতে পারলাম না একটাও, কিন্তু ফাউল করলাম কমপক্ষে সতেরবার!! আমার দলের পিচ্চিটা রেগে যাওয়ার কথা, কিন্তু উলটা দেখি দাঁত কেঁলিয়ে হাসে! তবে তার বদৌলতে একদম গো-হারা না হেরে ওদের তিন গোলের বদলে আমরা এক গোল দিলাম।
জোয়ার আসছে!
একটু আগের বালু তলিয়ে গেল পানির নীচে। পিচ্চিগুলোও উঠে এসেছে।
কী ভয়ংকর ঢেউ’র বেগ! পাথরের গায়ে ধাক্কা খেয়ে ঢেউটা ভেংগে গিয়ে ঝর্ণার মত সবেগে ছিটকে উঠে ভিজিয়ে দিচ্ছে চারপাশ।
আপু পাথর থেকে নেমে গিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালো।
আমার নড়তে মন চাইলোনা, দাঁড়িয়েই রইলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকলাম কী বিশাল গর্জনে ক্রদ্ধ আক্রোশে ধেঁয়ে আসা ঢেউ কত সহজেই ভেঙ্গে যায়!
আমি চুপচাপ ঢেউ ভাঙ্গা দেখতেই থাকি।
আকাশ হালকা নীল হালকা সাদা। অফিস-ডে। তাই মানুষজন কম। যাও আছে সব জোড়া জোড়া। ওরা অন্যদেরকে বিরক্ত করেনা, নিজেরাও বিরক্ত হতে পছন্দ করেনা। বিরাট একটা পাথরের উপর পা ঝুলিয়ে বসেছি।
এখন ভাটা।
‘রুনা’পু, গান গাইতে মন চাইছে!’
‘গাইতে মন চাইছে, গাও! আশেপাশেও তো কেউ নেই। তবে’ বলেই উনি হাসতে শুরু করলেন,‘ ঐ যে একটা কুকুর আছে!’
অতএব একজন কুকুর স্রোতার উপস্থিতিতে আমরা দু’জন গলা ছাড়লাম।
তুমি চেয়ে আছো তাই/
আমি পথে হেঁটে যাই/
হেঁটে হেঁটে বহুদূর/
বহুদূর যেতে চাই…………
চার লাইন তখনো শেষ হয়নি, দেখি কুকুরটা বালু থেকে উঠে লেজ থেকে বালু ঝাড়তে ঝাড়তে আড়মোড়া ভাংগছে! বুঝলাম, আমার হাসের মত প্যাক প্যাক গলা তার পছন্দ হয়নি। দমে গেলাম।
কিন্তু রুনা’পু থামলেন না।
……… আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে/
জানিনে জানিনে/
কিছুতে কেন যে মন লাগেনা লাগেনা/
আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে…………
বৃষ্টি নেই। তবুও গানটা শুনে কেন মনে হল বৃষ্টি হচ্ছে! এমনকি ঝুম ঝুম বৃষ্টির আওয়াজ পর্যন্ত যেন শুনতে পাচ্ছি!
দূরে একদম নেভালের সীমান্ত ঘেষেঁ সমুদ্রের বালুতে চার/পাঁচটা স্থানীয় ছোট ছেলে ফুটবল খেলেছে। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম ওদের কাছে।
নাহ, কেউ নেই!
ওরাও যেন আমার ‘আমাকে নিবে?’ শোনার জন্যেই অপেক্ষা করছিল!
রুনাপু পাথরের চাইয়ের উপর বসে আমাদের খেলা দেখতে দেখতে হেসে গড়িয়ে পড়লেন! আমি গোল দিতে পারলাম না একটাও, কিন্তু ফাউল করলাম কমপক্ষে সতেরবার!! আমার দলের পিচ্চিটা রেগে যাওয়ার কথা, কিন্তু উলটা দেখি দাঁত কেঁলিয়ে হাসে! তবে তার বদৌলতে একদম গো-হারা না হেরে ওদের তিন গোলের বদলে আমরা এক গোল দিলাম।
জোয়ার আসছে!
একটু আগের বালু তলিয়ে গেল পানির নীচে। পিচ্চিগুলোও উঠে এসেছে।
কী ভয়ংকর ঢেউ’র বেগ! পাথরের গায়ে ধাক্কা খেয়ে ঢেউটা ভেংগে গিয়ে ঝর্ণার মত সবেগে ছিটকে উঠে ভিজিয়ে দিচ্ছে চারপাশ।
আপু পাথর থেকে নেমে গিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালো।
আমার নড়তে মন চাইলোনা, দাঁড়িয়েই রইলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকলাম কী বিশাল গর্জনে ক্রদ্ধ আক্রোশে ধেঁয়ে আসা ঢেউ কত সহজেই ভেঙ্গে যায়!
আমি চুপচাপ ঢেউ ভাঙ্গা দেখতেই থাকি।
বাহ !!!!!!! আপ্পি তাহলে ফুটবলও খেলতে পারেন ??? ;-) ইশশশশ, সেদিন আমাকে ডাক দিতেন, আমিও চলে আসতাম। অন্তত ২ গোল দিয়ে আপনার দলের মান রক্ষা করতাম। আমি কিন্তু আবার ফুটবল বেশ ভালই খেলি....... ;-)
ReplyDeleteজানেন আপ্পি ???? ফুটবল হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। আর ক্রিকেট কে আমি ২ চোখে দেখতে পারিনা। কেন জানি সহ্য হয়না। বিরক্তিকর লাগে।